বাংলাদেশী পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম ২০২৫-২০২৬
বাংলাদেশী পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফরম পূরণের নিয়ম সম্পর্কে জানা খুবই
জরুরী। কারণ আপনি যদি অনলাইনে আবেদন ফর পূরণের নিয়ম সম্পর্কে জেনে থাকেন
তাহলে আপনাকে পাসপোর্ট এর আবেদন করতে আর লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে
না। আপনি চাইলে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন ফর ম পূরণ করে জমা দিতে
পারবেন। তবে কোথায় কোন তথ্য দিতে হবে এ সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে।
কোথায় কোন তথ্যটি দিতে হবে এবং কোন তথ্যটি দিতে হবে না এ সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই
জানতে হবে। এটি জানা না থাকলে পুরো প্রসেসটি আপনাদের কাছে অনেক কঠিন মনে
হবে। তাই আজকে আর্টিকেল টিতে সম্পূর্ণ বর্ণনা করা হয়েছে কিভাবে ঘরে
বসে খুব সহজে অনলাইনে পাসপোর্ট এর আবেদন ফ্রম পূরণ করতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ যে অংশ থেকে পড়তে চান ক্লিক করুন।
- বাংলাদেশী পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম
- নতুন পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- ব্যক্তিগত তথ্য কিভাবে সঠিকভাবে পূরণ করবেন
- প্রাপ্ত বয়স্ক না হলে পাসপোর্ট করার নিয়ম
- বিবাহিতদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
- পুরাতন পাসপোর্ট রেনু করার নিয়ম।
- ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য পূরণ করবেন যেভাবে
- পুরাতন পাসপোর্ট এর তথ্য যুক্ত করবেন যেভাবে
- সাবমিট করার পূর্বে যে সমস্ত বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
- পেশা সংক্রান্ত বিষয় কিভাবে পূরণ করবেন
- শেষ কথা
বাংলাদেশী পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম।
বাংলাদেশে পাসপোর্ট অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণের নিয়ম সম্পর্কে জানা অবশ্যই জরুরী
কেননা এখন ঘরে বসে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করা সম্ভব। আগে ঘন্টার পর ঘন্টা
দাঁড়িয়ে থেকে এ আবেদন ফর পূরণ করা লাগতো কিন্তু আপনি এখন চাইলেই ঘরে বসে
অনলাইনের মাধ্যমে এটি পূরণ করে জমা দিতে পারবেন।বাংলাদেশী পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম ২০২৫-২০২৬ আপনি কিভাবে বাংলাদেশী একটি
পাসপোর্ট এর জন্য ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন ফরম পূরণ করবেন তার নিচে ধাপে
ধাপে আলোচনা করা হলোঃ
১ ধাপঃ- প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবেepassport.gov.bd এই ওয়েবসাইটে।
এই ওয়েবসাইটে ঢুকে একাউন্ট ক্রিয়েট করে লগইন করতে হবে। অ্যাকাউন্ট করার পরে
ড্যাশবোর্ডেApply for a new e-Passport এ বাটন দেখাবে। এ বাটনে ক্লিক করলেই
আবেদন ফরমের প্রথম স্টেপ শুরু হবে। এ প্রসেসটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে খেয়াল
রাখতে হবে সকল তথ্য যেন সঠিকভাবে পূরণ হয় যেমন জাতীয় পরিচয় পত্র জন্ম নিবন্ধন
এর তথ্য অনুযায়ী পূরণ করতে হবে।
২য় ধাপঃ-নতুন পৃষ্ঠায় প্রথমে পাসপোর্ট এর ধরন নির্বাচন করতে হবে। এখানে
সাধারণ ব্যক্তিদের জন্য Ordinery passport এবং সরকারি কর্মচারীদের জন্য Official
passpoort সিলেক্ট করতে হবে। এখানে আপনার যেটা প্রয়োজন সেটা সিলেক্ট
করেSave and continue বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৩য় ধাপঃ এরপর personal information ফর্মে প্রথমে I apply for myself
অপশনে টিক মার্ক দিন। এটি করলে আপনার নাম ও রেজিস্ট্রেশন তথ্য অটোমেটিক সেভ হয়ে
আসবে। এরপর বাকি তথ্য ভালোভাবে পূরণ করতে হবে যেমনঃ- পূর্ণ নাম, জেন্ডার,
পেশা যেমন চাকরিজীবী, ধর্ম, জন্মতারিখ, জন্মস্থান ইত্যাদি। এই সমস্ত তথ্য
অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্মনিবন্ধনের তথ্য অনুযায়ী সঠিকভাবে দিতে হবে। সব
তথ্য পূরণ হয়ে গেলে Save and continue বাটনে ক্লিক করবেন।
এরপর address ফর্মের মধ্যে আপনার স্থায়ী ঠিকানা যেমনঃ- জেলা, থানা, ডাকঘর,
পোস্টাল কোড, গ্রাম/রাস্তা ইত্যাদি জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্মনিবন্ধনের তথ্য
অনুযায়ী সঠিকভাবে দিতে হবে। কেউ বিদেশে থাকলে বিদেশের ঠিকানা দিতে হবে। যদি
আপনার আগের অ্যাড্রেস আর এখনকার এড্রেস একই না হয় সে ক্ষেত্রে আপনি বর্তমানে
অ্যাড্রেস ভালোভাবে দিবেন কারণ আপনার বর্তমান অ্যাড্রেসে পুলিশ ভেরিফিকেশন এর
জন্য আসতে পারে। সকল তথ্য সঠিক ভাবে দেওয়ার পরে Save and continue বাটনে ক্লিক
করুন। এরপর আমাদের নিয়ে আসবে পরের অংশ আইডি ডকুমেন্টে।
এখানে একটা জিনিস ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে যে আপনার যদি পূর্বের কোন
পাসপোর্ট থাকে তাহলে যেই পাসপোর্টটি আছে সেটা যদি MRP পাসপোর্ট হয় তাহলে এক
নাম্বার যদি ই পাসপোর্ট থাকে তাহলে দুই নাম্বার এবং যদি একদম নতুন হয় মানে আগের
কোন পাসপোর্ট নেই তাহলে তিন নাম্বার সিলেট করতে হবে। তবে এক নাম্বার অথবা দুই
নাম্বার হলে সেখানে ইনফরমেশন দিতে হবে আগের পাসপোর্ট এর এরপর নিচে আইডি কার্ডের
নাম্বার দিয়ে Save and continue বাটনে ক্লিক দিতে হবে ।
৪র্থ ধাপঃ- এরপর পরবর্তী অংশে আপনার পিতা মাতার তথ্য দিন। এখানে পিতার এবং
মাতার পূর্ণ নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং পেশার নাম দিতে হবে।
পাসপোর্ট-অনলাইন-আবেদন-ফর্ম -পূরণের-নিয়ম
এখানে প্রথমে পিতার ইনফরমেশন দিতে হবে তারপর নিচে মায়ের। ১৮ বছরের নিচের
শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্যই বাবা-মায়ের NID নম্বর দিতে হবে। সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ
হয়ে গেলে Save and continue বাটনে ক্লিক দিতে হবে ।
তারপর বৈবাহিক অবস্থা নির্বাচন করুন। এখানে অবিবাহিত হলে Single সিলেক্ট করুন,
বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর নাম, তার NID ও পেশার তথ্য দিন। সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে
দেওয়া হলে Save and continue বাটনে ক্লিক করুন
এরপর Emergency contact অর্থাৎ জরুরী যোগাযোগ ফরম পূরণ করতে হবে
এখানে একজন পরিচিত লোকের লোকের তথ্য দিতে হবে একজন বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তির।
এবং তাদের সাথে আপনার সম্পর্ক কি তাও দিতে হবে যেমন বড় ভাই। এই তথ্য পুলিশ
যাচাইয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়, তাই সবকিছু সঠিকভাবে পূরণ করা হলে Save and continue
বাটনে ক্লিক করুন।
৫ম ধাপঃ- এরপর Passport Options এ নিয়ে আসবে এখানে পছন্দ অনুযায়ী পাতার সংখ্যা
ও মেয়াদ নির্ধারণ করুন। মেয়াদ হিসেবে ৫ বা ১০ বছর বেছে নেওয়া যায় ১০ বছর মেয়াদ
হলে ফি বেশি হয়। এখানে পাসপোর্ট সিলেট করার পর Save and continue বাটনে ক্লিক
করুন।
নতুন পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
নতুন পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য এবং অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করার জন্য আপনাকে কিছু
কাগজপত্র আগে থেকে গুছিয়ে রাখতে হবে। সর্বপ্রথমে যে কাগজটি আপনার প্রয়োজন হবে
সেটি হলো এন আই ডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন।বাংলাদেশী পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম ২০২৫-২০২৬ আপনার বয়স যদি ২০ বছরের উপরে হয়
তাহলে অবশ্যই আপনার এই আইডি কার্ড থাকতে হবে এবং যদি নিতে হয় তাহলে জন্ম
নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে। জন্ম নিবন্ধন টি অবশ্যই ইংরেজি ভার্সনে হতে হবে।
যদি শিশু হয় শিশুদের ক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের পিতা-মাতার এন আই ডি কার্ডের নম্বরের
প্রয়োজন হবে কেননা তাদের জন্ম নিবন্ধন না থাকায় তাদের পিতা-মাতার তথ্যই
গ্রহণযোগ্য হবে।
এ সমস্ত কিছু যোগাযোগ কার করার পরে আপনাকে অনলাইনে একটি আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
আবেদন ফর পূরণ করার পর প্রিন্ট করে অফিসে জমা দিতে হবে। এই ফর্মে দেওয়া তথ্য
গুলো যেন অবশ্যই আপনার এই আইডি কার্ডের সঙ্গে পুরোপুরি মিলে যায় তা না হলে অফিসে
গিয়ে আপনাকে ঝামেলায় পড়তে হতে পারে। তাছাড়া আপনি যদি চাকরি করেন তাহলে আপনার
অফিসের আইডি কার্ড লাগতে পারে বা আপনি যদি ছাত্র হন তাহলে স্কুল-কলেজের আইডি
কার্ডের প্রয়োজন হতে পারে। আর আপনি যদি গৃহিনী বা শিশু হন তাহলে এ সমস্ত
কাগজপত্র আইডির প্রয়োজন হবে না সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কোন কাগজপত্রের প্রয়োজন
হবে না। বিবাহিত হলে স্বামী স্ত্রীর ডকুমেন্ট দিতে হয় প্রয়োজন ক্ষেত্রে
ম্যারিড সার্টিফিকেটও দিতে হতে পারে।
ব্যক্তিগত তথ্য কিভাবে সঠিকভাবে পূরণ করবেন।
নতুন পাসপোর্ট করার সময় নিজের তথ্যগুলি সঠিকভাবে দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কেননা আপনার ছোট একটু ভুল কোন এক সময় বড় একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
যেমন নামের বানান ভুল বা জন্ম তারিখ উল্টাপাল্টা হলে বড় একটা সমস্যায় পড়তে
পারেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে ভালোভাবে সম্পূর্ণ করবেন।
প্রথমে নাম লেখার কথা বলি নিজের নাম অবশ্যই এনআইডি কার্ডের সঙ্গে মিল রেখে উপভোগ
লিখবেন। সেক্ষেত্রে নামের বানান যেন এনআইডি কার্ডের সঙ্গে মিল রেখে লিখবেন অক্ষর
যেন কম বেশি না হয়। পিতা মাতার নাম অবশ্যই তাদের ভোটার আইডি কার্ডের সঙ্গে মিল
রেখে দিবেন যেন কোন প্রকার ভুল না হয়। জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার অবশ্যই
নির্ভুলভাবে দিবেন কেননা কোন একটি সংখ্যা ভুল হয়ে গেলে আপনার আবেদনটি বাতিল হয়ে
যেতে পারে। ঠিকানা অবশ্যই এনআইডি কার্ডের সঙ্গে মিল রেখে দিবেন নিজের
বর্তমান ঠিকানা এবং পূর্বের স্থায়ী ঠিকানা যেন ভোটার আইডি কার্ডের সঙ্গে মিল
থাকে।
ফোন নাম্বার এবং ইমেইল নাম্বার অবশ্যই নির্ভুলভাবে দিবেন কারণ পাসপোর্ট অফিস থেকে
অনেক সময় এসএমএস বা ফোন করে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে পারে। সবকিছু
দেওয়ার পরে অবশ্যই সুন্দরভাবে স্বাক্ষর টা দিবেন স্বাক্ষর দেওয়ার পূর্বে
অবশ্যই পুরো ফরমটি ভালোভাবে পড়ে দেখবেন কোথাও ভুল আছে নাকি যদি সমস্ত কিছু ঠিক
থাকে তাহলে স্বাক্ষর করবেন।
প্রাপ্ত বয়স্ক না হলে পাসপোর্ট করার নিয়ম।
আপনি যদি প্রাপ্ত বয়স্ক না হন বা আপনার বয়স যদি ১৮র নিচে হয় তাহলে আপনি জন্ম
নিবন্ধন তথ্য দিয়েও পাসপোর্ট করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার জন্ম
নিবন্ধনের তথ্য দিয়ে ফর্মটি ভালোভাবে পূরণ করতে হবে এক্ষেত্রে আপনার নাম আপনার
বাবার নাম আপনার মায়ের নাম এবং জন্ম নিবন্ধন নাম্বার সম্পূর্ণ সঠিকভাবে দিতে
হবে।
আর আপনার বয়স যদি এর থেকেও কম হয় বা আপনি যদি একজন শিশু হন তাহলে আপনার আবেদনটি
একটু আলাদা হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট করার জন্য পিতা-মাতার সম্মতি
আবশ্যকীয়। শিশুদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট করতে হলে সে ক্ষেত্রে তাদের পিতা-মাতার
তথ্যগুলো দিতে হবে।বাংলাদেশী পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম ২০২৫-২০২৬ শিশুদের ক্ষেত্রে আবেদন ফরমে অবশ্যই তাদের নাম বয়স এবং
জন্ম তারিখ উল্লেখ করতে হবে এবং সেই সঙ্গে তার পিতামাতার এনআইডির ফটোকপি জমা দিতে
হবে। এ সমস্ত নিয়ম মেনে চললে শিশুদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট পাওয়া সম্ভব।
বিবাহিতদের পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে।
আপনি যদি বিবাহিত হন তাহলে আপনার নতুন পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আলাদা কিছু তথ্য
আপনাকে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনার এনআইডির ফটোকপি আপনি যেহেতু বিবাহিত সে
ক্ষেত্রে বিবাহিত সনদ বিবাহিত সনদ প্রমাণ করে যে আপনি বিবাহিত। আপনার যদি আগে
পাসপোর্ট থেকে থাকে তাহলে তা অবশ্যই সঙ্গে রাখবেন কেননা নতুন পাসপোর্ট এর জন্য
আগের কিছু তথ্য আপনার প্রয়োজন হতে পারে।
এছাড়াও আপনি বিভিন্ন ডকুমেন্ট যেমন বিদ্যুৎ বিলের কাগজ ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট
ইত্যাদি সঙ্গে রাখতে পারেন কারণ এগুলো থাকলে আপনার তথ্যগুলো দেওয়া অনেকটা
সহজ হয়ে যাবে। এবং নতুন পাসপোর্ট খুব দ্রুত পাওয়া যায়।
পুরাতন পাসপোর্ট রেনু করার নিয়ম।
আপনার যদি পূর্বে কোন পাসপোর্ট থেকে থাকে এবং সেটি যদি কোন কারণবশত হারিয়ে যায়
বা সেটার যদি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায় তখন আপনাকে নতুন পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য
বা ওই পাসপোর্টটি সংশোধন করার জন্য বা মেয়াদ বাড়ানোর জন্য যে কাজটি করা হয়
তাকে রেনু করা বলে।বাংলাদেশী পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম ২০২৫-২০২৬ সে ক্ষেত্রে পুরাতন পাসপোর্ট রেনুবান নবায়ন করার জন্য আপনাকে
প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র এবং পূর্বের পাসপোর্ট সহ অফিসে যোগাযোগ করতে হবে এবং
জমা দিতে হবে।
আপনার পাসপোর্টে যদি কোন কারণবশত হারিয়ে যায় তাহলে অবশ্যই জিবির কফি জমা
দিতে হবে। একটি নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী মূল পাসপোর্ট বা প্রয়োজনীয়
কাগজপত্র নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে জমা দিন। এরপর পাসপোর্ট অফিস থেকে আপনার
বায়োমেট্রিক ছবি গ্রহণ এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া হবে। আপনার পাসপোর্টটি
সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়ে গেলে অফিস থেকে আপনাকে ফোন দিবে বা এসএমএসের মাধ্যমে
জানিয়ে দিবে। আপনি অফিস থেকে পাসপোর্টটি সংগ্রহ করতে পারবেন।
ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য পূরণ করবেন যেভাবে।
পাসপোর্ট ফরমে ঠিকানা সম্পর্কে তথ্যগুলো অবশ্যই ভালোভাবে পূরণ করতে হবে। আপনার
ঠিকানার সংক্রান্ত তথ্যগুলো অবশ্যই সঠিকভাবে দিতে হবে কেননা পরবর্তী পাসপোর্ট
নেওয়ার সময় বা কোন প্রকার ভেরিফিকেশন করার সময় সঠিক তথ্য না থাকলে সমস্যা হতে
পারে। তাই পাসপোর্ট ফর্মে ঠিকানা সম্পূর্ণ সঠিকভাবে পূরণ করবেন। ঠিকানা
ফর্মে অবশ্যই স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা আলাদা আলাদা ভাবে দিবেন
এক্ষেত্রে স্থায়ী ঠিকানা বলতে আপনার স্থায়ী বসবাসের ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা
বলতে আপনি বর্তমানে যেখানে বসবাস করছেন।
যদি বিদ্যুৎ, গ্যাস বিলের ঠিকানা ফরমে দেওয়া ঠিকানার সঙ্গে মিলে যায়। তাহলে
অফিসে যাচাই করা অনেক সহজ হয়।বাংলাদেশী পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম ২০২৫-২০২৬ ঠিকানায় বাড়ি নাম্বার, রাস্তা, ওয়ার্ড বা
মহল্লা, শহর এবং জেলা সব ভালোভাবে দিতে হবে। সবশেষে ফরম জমা দেওয়ার আগে
একবার ভালোভাবে দেখে নিন যেন কোন প্রকার ভুল না হয়। ঠিকভাবে ঠিকানা দেওয়া থাকলে
পাসপোর্ট প্রক্রিয়া অনেক দ্রুত এবং ঝামেলামুক্ত হবে।
পুরাতন পাসপোর্ট এর তথ্য যুক্ত করবেন যেভাবে।
পূর্বে যদি আপনার কোন পাসওয়ার্ড থেকে থাকে তাহলে সে পাসপোর্ট এর তথ্য অবশ্যই
আপনার নতুন পাসপোর্ট এর আবেদন ফরমে দিতে হবে। প্রথমে পুরাতন পাসপোর্ট এর কিছু
তারিখ এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ সঠিকভাবে লিখুন। এ তথ্যগুলো দেওয়ার কারণ হলো
এটা প্রমাণ করে যে আপনার নতুন পাসপোর্ট এর আবেদন সঠিক এবং পুরাতন পাসপোর্ট এর
সঙ্গে মিল রেখে আবেদন করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে পুরাতন পাসপোর্ট এর মূল কপি এবং ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে। অনেক
সময় অফিসে জমা দেওয়ার সময় বা যাচাই প্রক্রিয়া করার সময় এগুলোর প্রয়োজন হয়
তাই অবশ্যই সঙ্গে রাখবেন। যদি আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হয়ে যায় বা
পাসপোর্ট হারিয়ে যায় তারপরেও নতুন ফর্মে এর তথ্যগুলো দিতে হবে। সমস্ত তথ্য
নির্ভুলভাবে দেওয়া থাকলে পাসপোর্ট পেতে সুবিধা হয় এবং অনেক দ্রুত পাওয়া যায়।
সাবমিট করার পূর্বে যে সমস্ত বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
সম্প্রীতি সাবমিট করার পূর্বে অবশ্যই ভালোভাবে পড়ে নিবেন এবং দেখে নিবেন যেন কোন
তথ্য দেওয়া বাদ না পড়ে বা কোন জায়গায় কোন প্রকার ভুল না হয়। কারণ কোন
জায়গায় যদি কোন তথ্য দেওয়া বাদ পড়ে বা ভুল হয় তাহলে আপনার পাসপোর্ট পাওয়া
অনেকটা সমস্যা হতে পারে এবং পরে আপনাকে ঝামেলা হতে পারে।বাংলাদেশী পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম ২০২৫-২০২৬ তাই অবশ্যই সাবমিট করার
পূর্বে ভালোভাবে দেখে নেবেন।
প্রথমে আপনার নাম ঠিকানা আপনার পিতার নাম আপনার মাতার নাম আপনার বয়স জন্মতারিখ
ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সঠিকভাবে দিয়েছেন কিনা মিলিয়ে নিন। এবং অন্যান্য
কাগজপত্র সঙ্গে মিল আছে কিনা তা অবশ্যই মিলিয়ে দেখতে হবে। ফি জমা দেওয়ার রশিদ
ফটোকপি বা ছবি দিয়েছেন কিনা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়েছেন কিনা
মিলিয়ে দেখুন। যদি আগে কোন পাসপোর্ট থাকে তাহলে তার কপিগুলো সঠিকভাবে
দিয়েছেন কিনা এবং সর্বশেষে আবেদন ফরমটিতে স্বাক্ষর করেছেন কিনা সঠিকভাবে মিলিয়ে
দেখুন। এরপর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনি সাবমিট করে দিবেন।
পেশা সংক্রান্ত বিষয় কিভাবে পূরণ করবেন।
পাসপোর্ট আবেদন ফরমে পেশা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত বিষয়টি অনেক গুরুত্ব
সহকারে দেখতে হবে অনেকেই এ বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেন না। কিন্তু এটি সঠিকভাবে
পূরণ করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। এখানে নিজের বর্তমান পেশার নাম
পরিষ্কারভাবে লিখতে হবে। আপনি যদি ছাত্র হন তবে “ছাত্র” বা “ছাত্রী” লিখুন,
চাকরিজীবী হলে কাজের ধরণ যেমন শিক্ষক, সরকারি কর্মচারী, ডাক্তার বা ব্যবসায়ী
ইত্যাদি লিখতে হবে।
কোনো নির্দিষ্ট লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজনীয়তা থাকলে যেমন ডাক্তার বা
আইনজীবীর ক্ষেত্রে সেই তথ্যও সঠিকভাবে যোগ করুন। শিক্ষাগত যোগ্যতা অংশে সর্বোচ্চ
কোন পর্যায় পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন তা লিখতে হবে, যেমন SSC, HSC বা তার বেশি।
এখানে বাড়িয়ে বা কমিয়ে কিছু লেখা যাবে না, কারণ পরে যাচাইয়ের সময় ভুল ধরা পড়লে
সমস্যা হতে পারে। সহজ এবং সঠিকভাবে নিজের সঠিক তথ্য গুলো দিবেন ।বাংলাদেশী পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণের নিয়ম ২০২৫-২০২৬
শেষ কথা।
প্রিয় পাঠক উপরের আর্টিকেলটিতে আমি আপনাদেরকে কিভাবে একটি বাংলাদেশী পাসপোর্ট এর
জন্য অনলাইনে আবেদন করবেন এটা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনারা
তার সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পেরেছেন। এখন আমরা যদি আমার দেখানোর নিয়ম মেনে
অনলাইনে সঠিকভাবে আবেদন করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনারা ঘরে বসে পাসপোর্ট তৈরি
করবেন কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়া। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বপ্রথমে পুরো আর্টিকেলটি
পড়বেন এবং বিস্তারিত ধারণা নিয়ে তারপরে আবেদন শুরু করবেন তা না হলে আবেদন
করতে পারেন। আর যদি বোঝার কোন সমস্যা হয় অবশ্যই আমাদেরকে জানাবেন।
আমার লেখাগুলো যদি আপনাদের ভালো লাগে লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই লেখাটির শেয়ার
করবেন এবং আপনাদের পরিচিত মানুষদের দেখার সুযোগ করে দিবেন। আর যদি লেখার মধ্যে
কোন প্রকার ভুল ত্রুটি থাকে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আমরা আপনাদের কমেন্টের
রিপ্লাই দেয়ার চেষ্টা করব আল্লাহ হাফেজ।
স্বপ্ন পথ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url