নেপাল টুর প্যাকেজ ফ্রম বাংলাদেশ।
নেপাল দক্ষিণ এশিয়ার একটি ছোট দেশ। অপরূপ সৌন্দর্য চারপাশে পাহাড় বেষ্টিত থাকায় নেপালকে পাহাড়ি কন্যা বলা হয়। নেপাল ভ্রমণ বাংলাদেশেরদের জন্য অনেক সহজ তাই প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে পর্যটক নেপাল ভ্রমনে যায়। নেপাল ভবন অনেক সহজ করার জন্য আজকে ব্লগটিতে নেপাল ভ্রমণ সম্পর্কে বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হবে।
পাহাড়ি হিমালয়ের সৌন্দর্যের মধ্যে অবস্থিত একটি দেশ নেপাল। নেপাল তার হিমালয়ের সৌন্দর্য প্রাচীন মন্দির এবং বিভিন্ন প্রকার বন্য প্রাণীর জন্য উপমহাদেশের অন্যতম টুরিস্ট স্পট। প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ নেভালে যায় ভ্রমণ করার জন্য। নেপালে পাহাড়-পর্বত ও টেকিং ছাড়াও এখানে ঘুরতে আসে বিভিন্ন প্রাচীন মন্দির গুলোতে।
সূচিপত্রঃ নিচের যে অংশ পড়তে চান ক্লিক করুন।
- ইন্টারন্যাশনাল মাউন্টেড মিউজিয়াম।
- ওয়ার্ল্ড পিস প্যাগদা।
- দেবীর জলপ্রপ।
- কাটমুন্ডুর দরবার।
- পাঠান ও ভক্তপুর।
- নোওয়ারী রেস্তোরাঁ।
- পশুপতিনাথ মন্দির।
- বৈদ্যনাথ স্তূপ।
- ফেওয়া লেক।
- সেবাশেষ কথা।
ইন্টারন্যাশনাল মাউন্টেড মিউজিয়াম।
প্রখরা শহরের কেন্দ্রস্থলে এ মিউজিয়ামটি অবস্থিত। এখানকার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এখান থেকে তিনটি পর্বত শৃঙ্গ খুব সুন্দর ভাবে দেখা যায় সাইমন দাও লাগি অন্নপূর্ণা ও মানাসলু। এ মিউজিয়ামের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এখানে পর্বত আরোহণের কলাকৌশল বিশ্বব্যাপী প্রধান পর্বতমালার তথ্য সমূহ ও এর ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে জানা যায়। পর্বত আরোহণের জন্য কি সমস্ত পোশাক পত্রর দরকার হয় বা পড়তে হয় এ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে নির্দেশ পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে মোবাইলে/কম্পিউটার টাইপিং করে প্রতিদিন ৫00 থেকে ১০০০ টাকা ইনকাম করবেন।
মাউন্টেন মিউজিয়ামে এদেশের বিভিন্ন সংস্কৃতিক দিক তুলে ধরা আছে এদের প্রাচীনতম
নির্দেশনা এবং এদের সংস্কৃতি বৈশিষ্ট্য এখানে পাওয়া যায়। প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ
থেকে হাজার হাজার পর্যটক এ মিউজিয়াম পরিদর্শনে আসেন। এখানে অনেক পুরাতন প্রাচীন
নিদর্শন মি। তাই মালদ্বীপ ঘুরতে আসলে অবশ্যই আপনারা এই মিউজিয়াম ঘুরে দেখবেন এবং
মালদ্বীপের প্রাচীন সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ওয়ার্ল্ড পিস প্যাগদা।
মালদ্বীপ ভ্রমনে আসলে আপনি অবশ্যই ওয়ার্ল্ড পিস প্যাগদা এবং এর চারপাশের
সৌন্দর্য দেখতে ভুলবেন না। কারণ এর চারপাশের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে।
ওয়ার্ল্ড পিস প্যাগদা মূলত পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থ। এদেশের অধিকাংশ মানুষই
প্রায় বৌদ্ধ ধর্মে অনুসারী । তাই তাদের একমাত্র উপাসনালয় হল
প্যাগোডা। ওয়ান পিস প্যাগোডা উঠলে আপনি দেখতে পারবেন পোকার শহরের সৌন্দর্য
ফেভারি ট এবং আশপাশের শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য যা আপনাকে অন্যরকম অভিজ্ঞতার
সম্মুখীন করবে।
তাই আপনারা নেপাল ভ্রমনে আসলে অবশ্যই ওয়ান পিস প্যাগোডা হ্যাকিং করে আসতে পারেন।
কেন না আপনারা এখানে আসলে নেপালের ধর্মীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে
পারবেন। ওয়ার্ল্ড পিস প্যাগদা এর চারপাশে রয়েছে বড় বড় মাউন্টেন পাহাড়
ছোট ছোট রিদ এবং সবুজে ঘেরা সুন্দর প্রকৃতি যা আপনার ভ্রমণকে সুন্দর করবে।
দেবীর জলপ্রপ।
নেপাল ঘুরতে আসলে অবশ্যই আপনারা দেবীর জলপ্রপাত দেখতে ভুলবেন না। কারণ এটি নেপালের সুন্দরতম একটি জায়গা এবং টুরিস্ট স্পট। প্রতিবছর হাজার হাজার লাখো লাখো মানুষ দেবীর জলপ্রপাত দেখতে নেপাল ভ্রমন কর।আপনিও আপনার নেপাল ঘোড়ার অভিজ্ঞতা কে পরিপূর্ণ করতে দেবীর জলপ্রপাত ঘুরে দেখতে পারেন। দেবীর জলপ্রপাত পখারায় অবস্থিত একটি ঝর্ণার নাম। এর একপাশে রয়েছে একটি বাঁধ। এর কোন একটা সময় বাঁধের পানি নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় ছিল ঝরনার পানিতে তেমন স্রোত ছিল ।
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করুন বিকাশ পেমেন্ট।
দেবীর জলপ্রপাত ভ্রমণের পাশাপাশি এর ভৌগোলিক অবস্থা আপনার চোখে পড়বে। এর ভূগর্ভস্থ টানেদের অদৃশ্য হয়ে আসা নদীর পানি বছরের পর বছর এর জলপ্রপাতের সাক্ষী। যা আপনার শীতল করে দে। জলপ্রপাত থেকে অল্প একটু হাঁটলেই আপনি গুপ্তেশ্বর মহাদেবের গুহা পেয়ে যাবেন যেখানে আপনি হাজার হাজার পুরনো স্ট্যালাগমাইটস দেখতে পাবেন। মূলত এই স্ট্যালাগমাইটস দেখতে বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার ভ্রমণ প্রিয়াসু মানুষ এখানে ভিড় জমায়।
কাটমুন্ডুর দরবার।
কাঠমান্ডু দরবার এর অবস্থান থামেলের দক্ষিনে অবস্থিত। জায়গাটির ঐতিহ্যবাহিতার
জন্য ১৯৭৯ সালে ইউনেস্কো হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করে। এই সাইটটি নেপালের
সমৃদ্ধ রাজকীয় ঐতিহ্য সাক্ষী। উনিশ শতকের দিকে নেপালের রাজ পরিবারের লোকজন
এখানেই বসবাস করতেন। তাই এখানকার মন্দির একসময় রাজকীয় কমপ্লেক্স দেখে পর্যটকরা
আশ্চর্য হন।এখানকার ঐতিহ্য এবং স্থাপত্য শিল্প আপনাকে নেপালের রাজকীয় ঐতিহ্যের
অতীতে নিয়ে যাবে।
রাজ পরিবারে লোকজন বা রাজারা এখান থেকে রাজ কার্যক্রম ভারত সভা নিয়ন্ত্রণ
করতেন। মূলত সুন্দর একটি জায়গা যেখানে আসলে বোঝা যায়। এখানে চারপাশে সৌন্দর্য
এবং প্রাচীন নিদর্শন দেখলে বোঝা যায় আগের দিনে রাজাদের জীবনযাপন কেমন রাজকীয়
ছিল। প্রাচীন রাজপ্রাসাদ রাজাদের তামবরখানা এর প্রাচীনতম সাক্। তাই নেপাল ভ্রমণে
আসলে অবশ্যই নেপালের রাজকীয় ঐতিহ্য দেখতে ভুলবেন না।
পাঠান ও ভক্তপুর।
নেপালের পাশে রাজা ছিল পাঠান গোত্রের। পাঁচিল রাজারা যে এলাকায় বসবাস করত সেটি
ছিল ভক্তপুর। প্রাচীন রাজাদের জীবনযাপন ছিলখুবই বিলাসব। সুবিশাল বিশাল অট্টালিকা
দরবার শরীফ দেখলেই তাদের জীবন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তাদের রাজুকে ঐতিহ্য
ছিল তা প্রাচীন নিদর্শন দেখলেই বোঝা যা। তারা সাধারণত বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ছিলেন
তাদের আমলের অনেক বৌদ্ধ মন্দির দেখা যায়। তারা দেবদবীর অনুসারী ছিলেন তাদের
বৌদ্ধ দেবতা তাদের উপাসনার মধ্যে ছিল।
পাঠানরা একচেটিয়াভাবে নেপাল শাসন করতেন তারা অত্যন্ত করেছিলেন। তাদের শাসন ছিল
খুবই বিস্তৃত সুশাসন। তাদের শাসনামলের বিভিন্ন নিদর্শন দেখা যায় ভক্তপুরে।
তাই আপনারা যদি নেপাল ভ্রমনে আসেন অবশ্যই পাঠানো ভক্তপুরের প্রাচীন নিদর্শন দেখে
যাব। এটা আপনাদের নির্ভর ভ্রমণ জার্নিতে আরো একধাপ এগিয়ে নেবে। তাদের প্রাচীন
আমলের জীবন যাপন সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারব.।তাদের সভ্যতা সংস্কৃতি এবং রেখে
যাওয়া প্রত্নতাত্রীক নিদর্শন চোখে পড়ার মতো। এ সমস্ত
প্রত্নতাত্রীক নিদর্শন দেখতে প্রতিবছর হাজারো পর্যটক নেপালে ভ্রমণ করে।
নোওয়ারী রেস্তোরাঁ।
নেপালের ঐতিহ্যবাহী রেস্তোরার মধ্যে নেওয়ারই রেস্তোরাঁ অন্যতম। এর বিশাল সু
খ্যাতি রয়েছে। প্রতিবছর হাজারো মানুষ এ রেস্তোরাঁ ভ্রমনে আ।। তাই এটি নিঃসন্দেহে
বলা যায় নেপালের অন্যতম পর্যটনের স্থান এটি। মূলত ভোজন পিয়াসী মানুষই
এখানে বেশি ভিড় জমায়। আপনিও চাইলে দুপুরে খাবার জন্য নেওয়ারই খাবার কে
আপনার মেনুতে রাখতে পারেন।
নেওয়ারিরা কাঠমুন্ডু উপত্যকার অধিবাসী এবং তাদের রন্ধন প্রণালী এক
অনন্য সালের জন্য বিখ্যাত। এখানে তোর খাবার অত্যন্ত সুস্বাদু বিখ্যাত হওয়ায়
প্রত্যেকটি পর্যটনী এর সমস্ত আইটেম ট্রাই না করে নেপাল থেকে আসতে চায় না। এ
খাবারগুলো এতটাই জনপ্রিয় যে প্রতিবছর বিভিন্ন মানুষ এই খাবারের টানে এ দেশে
এসে থাকে। তাই রেস্তোরাঁ অনেক নাম রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ টাফনিল এর কাজ খাওয়ার নিয়ম ও সতর্কতা ২০২৫।
পশুপতিনাথ মন্দির।
নেপালের উল্লেখযোগ্য হিন্দু মন্দির গুলোর মধ্যে পশুপতিনাথ মন্দির একটি। এ
মন্দিরের সৌন্দর্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে। বাগমতি নদীর তীরে এই মন্দিরটি গড়ে উঠে।
এ মন্দিরটি অনেক পুরাতন একটি মন্দির আশা করা যায় প্রায় ১০০ বছর আগের এটি তৈরি।
এড নির্মল শৈলী মনোমুগ্ধকর যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
হিন্দু ধর্ম অনুসারীদের জন্য একটি পবিত্র স্থান। এখানে হিন্দু ধর্ম অবলম্বীরা তাদের প্রার্থনা করে থাকে। এটি ঐতিহ্যবাহী একটি মন্দির যার সাথে নেপালের পর্যটন কেন্দ্রের সম্পর্ক রয়ে। প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মানুষ এ মন্দির দর্শনে আসে। এখানে বেশিরভাগ হিন্দু ধর্ম অবলম্বীরা বেশি পরিদর্শনে আসে।
বৈদ্যনাথ স্তূপ।
যদি হাতে সময় থাকে তাহলে আপনি নেপালের বৈদ্যনাথ স্তূপ মন্দির পরিদর্শন করে
যেতে পারেন। এটি ইউনেস্কোর একটি স্বীকৃত প্রাপ্ত ঐতিহ্যবাহী স্থান। স্থাপনাটির
দিকে তাকালে সবার আগে চোখে পড়ে এর বিশাল গম্বুজ টি। তার উপরে দাঁড়িয়ে
রয়েছে পিরামিড আকৃতির একটি বড় টাওয়ার। এখানের সম্পদের বিশ্বাস গম্বুষ্টির উপরে
সদা সজাগ দৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে আছে বৌদ্ধ দেবতা।
এখানকার সংস্কৃতি অনেক প্রাচীনতম সংস্কৃতি যা অতীতের অনেক কিছু স্মরণ
করিয়ে দেয়। তাদের ধর্মভীরতা ধর্মের প্রতি অগাধ বিশ্বাস এর প্রতি হিসেবে এই
বৈদ্যনাথ স্তূপ দাঁড়িয়ে আছে। এখানে প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণ মানুষ পর্যটনে
আসে। আপনারা যদি হাতের সময় থাকে তাহলে অবশ্যই ভ্রমণ করে যাবেন।
ফেওয়া লেক।
পোখরা ভ্রমণের একটি আবশ্যকীয় কাজ হল ফেওয়া লেক বোটিং করা। পোকার আই তিনটি লেক আছে তার মধ্যে ফেওয়া লেক অন্যতম। এখানে ঐতিহ্যবাহী কাঠের নৌকা । এখানে ঘুরতে আসলে আপনি কাঠের নৌকা ভাড়া পাবেন। আপনি নৌকা ভাড়া করে ফেওয়া লেক ঘুরতে পারবেন এবং এর অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
আপনিও আপনার নেপাল ঘোড়ার অভিজ্ঞতা কে পরিপূর্ণ করতে দেবীর জলপ্রপাত ঘুরে দেখতে পারেন। দেবীর জলপ্রপাত পখারায় অবস্থিত একটি ঝর্ণার নাম। এর একপাশে রয়েছে একটি বাঁধ। এর কোন একটা সময় বাঁধের পানি নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় ছিল ঝরনার পানিতে তেমন স্রোত ছিল ।
শেষ কথা।
উপরের আলোচনায় পড়লে ট্যুর প্যাকেজ ফ্রম বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত সব দিক
নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা আপনারা এই দিক নির্দেশনা অবলম্বন করলে নেপালের
বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখতে পারবেন। লেখক সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে আপনাদেরকে নেপালের
বিভিন্ন দর্শনীয় স্পট সম্পর্কে ধারণা দিতে। আশা করি আপনারা কিছুটা হলেও নেপালের
পর্যটন সম্পর্কে বা বিখ্যাত জায়গা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।
আমার লেখাগুলো যদি আপনাদের ভালো লাগে লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই লেখাটির শেয়ার
করবেন এবং আপনাদের পরিচিত মানুষদের দেখার সুযোগ করে দিবেন। আর যদি লেখার মধ্যে
কোন প্রকার ভুল ত্রুটি থাকে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আমরা আপনাদের কমেন্টের
রিপ্লাই দেয়ার চেষ্টা করব আল্লাহ হাফ।
স্বপ্ন পথ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url