শীতকালে সিলেটের দর্শনীয় স্থান।
প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর চায়ের দেশ সিলেট। এটি সাধারণত বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রাচীন জনপদ নিয়ে গঠিত। সিলেট সাধারণত বনজ খনিজ ও মৎস্য সম্পদের ভরপুর । একে ৩৬০ আউলিয়ার দেশ বলা হয়। আবার কখনো বা চায়ের দেশও বলা হয়। এগুলো ছাড়াও সিলেটের রয়েছে প্রাচীন ইতিহাস। এখানে বিভিন্ন রকমের আদিবাসীরা বসবাস করে, তাদের রয়েছে বিভিন্ন ভাষা এবং সংস্কৃতি।
সূচিপত্রঃ সিলেটের সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান।
- চা বাগান
- সিলেট জাফলং
- ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর
- রাতারগুল জলাবোন
- বিছানাকান্দি
- মায়াবী ঝরনা
- সিলেট জিরো পয়েন্ট
- লালাখাল
- তামাবিল
- পাহাড়
চা বাগান
সিলেট সাধারণত চায়ের জন্য বিখ্যাত একটি বিভাগ। এখানে প্রচুর পরিমাণে চা জন্মে। এখানে আকাবাকা উঁচু নিচু টিলার উপরে চা চাষ করা হয়। চারপাশে এদিক ওদিক তাকালে মনে হয় এজন্য সবুজের এক বিশাল নিলা ভূমি। সবুজ বাগানের মাঝখান দিয়ে একে দেখে দেখে বয়ে চলেছে পাকা রাস্তা দেখলে যেন দুচোখ ভরে যায়। চা বাগানের জন্য শ্রীমঙ্গলের বিশ্ব বিখ্যাত সুনাম রয়েছে। প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে পর্যটক সবুজে ঘেরা শ্রীমঙ্গল দেখতে ভিড় জমায়। মূলত শীতের সিজনে পর্যটকের আনাগোনা বেশি দেখা যায়।
সিলেট জাফলং
জাফলং সাধারণত সিলেট শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর পূর্ব দিকে অবস্থিত। জাফলং ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষে অবস্থিত। সিলেটের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে স্যাফলং সবার প্রিয় একটি দর্শনীয় স্থান। পাহাড় বেয়ে নেমে আশা ঝর্ণা চকচকে পানি পর্যটকদের গভীরভাবে আকর্ষণ করে। জাফলং এক সময় একেক রকমের রূপ ধারণ করে যেমন একেক ঋতুতে একেক রকম রোগ দেখা যায়। নদীর চকচকে পানি সবুজে ঘেরা উঁচু পাহাড় ঝুলন্ত সেতু জাফলং করেছে এক অনন্য। জাফলং সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় থাকে।
ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর
ভোলাগঞ্জ সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। সাধারণত সাদা পাথর নামে বেশি পরিচিত। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ছোট বড় অনেক সাদা পাথর এবং পাথর ছুয়ে আসা চকচকে পানি প্রকৃতিপ্রেমীদের ভীষণভাবে মন কারে। এর প্রকৃতির সৌন্দর্য চারপাশে ঘেরা ছোট-বড় পাহাড় একে পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তুলেছে। প্রতিবছর দেশ বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণে পর্যটক এখানে ভিড় জমায়। মেঘালয়ের পাহাড়ে ঝরনা থেকে উৎপত্তি নদীর নাম হল ধোলাই নদ। এই জায়গাটির নামই মূলত ভোলাগঞ্জ জিরো পয়েন্ট। এখানে প্রায় সারা বছরই পর্যটনের ভিড় দেখা যায়।
রাতারগুল জলাবোন
রাতারগুল সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবস্থিত। এটা গোয়ায়ের নদীর
তীরে অবস্থিত। পৃথিবীতে সর্বমোট 22 টি মিঠা পানের বোন রয়েছে তার
মধ্যে রাতারগুল একটি। মূলত বড়ই জলবায়ুর কারণে এখানে প্রায় প্রচুর
বৃষ্টিপাত হয়। এখানকার গাছপালা চার-পাঁচ মাস পানির নিচে থাকে। এখানে
সবচেয়ে বেশি জন্মায় করস গাছ। বর্ষার মৌসুমে চারদিকে পানি থই থই করে
। এখানে একধরনের রাতা গাছ জন্মে আর এই রাতা
গাছের নাম অনুসারে এ বোনের নাম রাখা হয়েছে রাতারগুল।
স্বপ্ন পথ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url